সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে গুম-খুন, ধর্ষণ আর উন্নয়নের নামে জনগণের ট্যাক্সের টাকা লোপাট আজ স্বাভাবিক নিয়মে পরিনত হয়েছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বর্তমান সরকার। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংসকরে দলদাসে পরিনত করেছে। আবাসিক হলগুলোতে টর্চার সেলের মাধ্যমে তারা ছাত্রদের নিয়ন্ত্রন করছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আয়োজনে দুর্নীতি ও ধর্ষনবিরোধী বিভাগীয় সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, দেশের স্বার্থে প্রশ্ন তোলায় তাদের লাঠিয়াল বাহিনী সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়। তারা (ছাত্রলীগ) নিজের সহপাঠীকে খুন করতেও কুন্ঠা বোধ করেনা। অগণতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা সর্বত্র ভয়ের রাজত্ব স্থাপন করতে চায়। তাই দেশের এই সংকটাপন্ন অবস্থায় ভয়কে জয় করে ছাত্র তরুণদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের স্বৈরাচারী শাসনকে প্রতিহত করতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশনের বিভাগীয় সমন্বয়ক ও জেলা শাখার আহ্বায়ক নবীন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, লুটপাট-দুর্নীতি-ধর্ষনের এই চিত্র মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার বাংলাদেশ নয়। তাই ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বর্তমানের তরুণ ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে জনগণের আকাঙ্খার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ছাত্র ফেডারেশন অঙ্গিকারাবদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে নবীন আহমেদ বলেন, এক আবরার, নুসরাতদের হত্যা করে গোটা ছাত্র সমাজের কন্ঠকে রোধ করা যায় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দুর্নীতি-ধর্ষণ প্রতিরোধে স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জেলা শাখার সদস্য মোঃ জাবেরের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, ছাত্র ফেডারেশন জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব, ঝালকাঠী জেলা সংগঠক মোঃ তুফান হোসেন, পিরোজপুর জেলার সংগঠক মোঃ মারুফ আহমেদ, সরকারি পলিটেকনিক শাখার সংগঠক সাকিবুল ইসলাম সাফিন প্রমুখ।
সমাবেশে দুর্নীতি ও ধর্ষণ বিরোধী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমবেত কন্ঠে শপথ বাক্য পাঠ করা হয়।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনীকুমার হল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।